ঢাকা, ২৬ নভেম্বর ২০১৫ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) সিলেট সুপার স্টার্সকে হ্যাট্টিক হারের স্বাদ দিলো রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্টের পঞ্চম দিনে প্রথম খেলায় সাকিবের রংপুর ৬ রানে হারিয়েছে মুশফিকুরের সিলেটকে। এই জয়ে ৪ খেলায় ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ দাঁড়ালো রংপুরের। আর নিজেদের ৩ ম্যাচের সবক’টিতেই হারলো সিলেট।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় রংপুরের পুঁজি ১০৯ রান। তাই শুরুতেই প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়ার পরিকল্পনা ছিলো রংপরের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবে নিয়ে আসলেন দলের অধিনায়ক সাকিব নিজেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ইংল্যান্ডের জশ কবকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেন সাকিব।
সাকিবের আক্রমণে উল্টো আক্রমণ করে বসেন শ্রীলংকার দিলশান মুনাবীরা। তবে তার আক্রমণ বেশিক্ষণ বজায় থাকেনি। সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ১১ বলে ১৭ রান করেন তিনি। এরপর মোমিনুল হককে নিয়ে দলকে সামনে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক মুশফিকুর। এ যাত্রায় অনেক বেশি সক্রিয় ছিলেন মোমিনুল।
৬টি দর্শনীয় বাউন্ডারিতে রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন মোমিনুল। তবে মোমিনুলকে ২৯ রানে থামিয়ে দিয়ে রংপুরকে ম্যাচে ফেরানোর পথ দেখান থিসারা পেরেরা। তার দেখানো পথে হেটে রংপুরকে দারুনভাবে ম্যাচে ফেরান সেনানায়েকে, সানি ও আবু জায়েদ। সেই মিছিলে যোগ দেন সাকিবও। ফলে ৮৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। তাই ম্যাচ জয়ের পথটাও হারিয়ে ফেলে তারা।
তারপরও এক প্রান্ত আগলে দলের শেষ ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন মুশফিকুর। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৭ রান দরকার পড়লেও, স্ট্রাইকে ছিলেন সিলেটের শেষ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান শ্রীলংকার অজন্থা মেন্ডিস। তখন নন-স্ট্রাইকে অপেক্ষার প্রহর গুণছিলেন মুশফিকুর, স্ট্রাইকের আশায়।
কিন্তু মুশফিকুরের সেই আশা ধুলো মিশিয়ে দিয়ে রংপুরকে দারুন এক জয়ের স্বাদ এনে দেন পেসার আবু জায়েদ। মেন্ডিসকে ৩ রানে ফিরিয়ে সিলেটকে ১০৩ রানে আটকে দিয়ে রংপুরকে ম্যাচ জয়ের উল্লাসে মাতান জায়েদ। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা শেষ পর্যন্ত হাতে তুলেছেন সাকিবই। ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন সাকিব। ২৫ রানে অপরাজিত থেকে হার নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ১৯ রানের সূচনা এনে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডল সিমন্স ও সৌম্য সরকার। এরপরই রংপুরের ইনিংসের ছন্দপতন ঘটে। ৫৪ রানেই পৌছাতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সৌম্য ৭, সিমন্স ১৩, মোহাম্মদ মিথুন ৪ ও জহিরুল ইসলাম ৮ রান করে ফিরেন।
শুরুতে মাত্র ১ উইকেট নিলেও, শেষদিকে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরকে অল্প রানে বেঁেধ ফেলেন সিলেটের শহীদ। শ্রীলংকার সাচ্চিত্রা সেনানায়েকে ও আরাফাত সানির উইকেট যতটা না মূলবান ছিলো, তার চেয়ে বেশি সাকিবের উইকেটটি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো শহীদের কাছে।
কারণ দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন সাকিব। হাল ধরে ছিলেন শ্রীলংকার থিসারা পেরেরাও। তবে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। পেরেরাকে টপকিয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সাকিব। দলীয় ১০৮ রানে সাকিবকে ফিরিয়ে রংপুরের সম্মানজনক স্কোরের আশা শেষ করে দেন শহীদ। পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১০৯ রান করে রংপুর। ১২ রানে ৪ উইকেট নেন শহীদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রংপুর রাইডার্স : ১০৯/৯, ২০ ওভার (সাকিব ৩৩, পেরেরা ২১, শহীদ ৪/১২)।
সিলেট সুপার স্টার্স : ১০৩/১০, ২০ ওভার (মোমিনুল ২৯, মুশফিকুর ২৫*, সাকিব ৩/৩১)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সাকিব আল হাসান (রংপুর রাইডার্স)।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় রংপুরের পুঁজি ১০৯ রান। তাই শুরুতেই প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়ার পরিকল্পনা ছিলো রংপরের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবে নিয়ে আসলেন দলের অধিনায়ক সাকিব নিজেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ইংল্যান্ডের জশ কবকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেন সাকিব।
সাকিবের আক্রমণে উল্টো আক্রমণ করে বসেন শ্রীলংকার দিলশান মুনাবীরা। তবে তার আক্রমণ বেশিক্ষণ বজায় থাকেনি। সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ১১ বলে ১৭ রান করেন তিনি। এরপর মোমিনুল হককে নিয়ে দলকে সামনে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক মুশফিকুর। এ যাত্রায় অনেক বেশি সক্রিয় ছিলেন মোমিনুল।
৬টি দর্শনীয় বাউন্ডারিতে রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন মোমিনুল। তবে মোমিনুলকে ২৯ রানে থামিয়ে দিয়ে রংপুরকে ম্যাচে ফেরানোর পথ দেখান থিসারা পেরেরা। তার দেখানো পথে হেটে রংপুরকে দারুনভাবে ম্যাচে ফেরান সেনানায়েকে, সানি ও আবু জায়েদ। সেই মিছিলে যোগ দেন সাকিবও। ফলে ৮৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। তাই ম্যাচ জয়ের পথটাও হারিয়ে ফেলে তারা।
তারপরও এক প্রান্ত আগলে দলের শেষ ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন মুশফিকুর। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৭ রান দরকার পড়লেও, স্ট্রাইকে ছিলেন সিলেটের শেষ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান শ্রীলংকার অজন্থা মেন্ডিস। তখন নন-স্ট্রাইকে অপেক্ষার প্রহর গুণছিলেন মুশফিকুর, স্ট্রাইকের আশায়।
কিন্তু মুশফিকুরের সেই আশা ধুলো মিশিয়ে দিয়ে রংপুরকে দারুন এক জয়ের স্বাদ এনে দেন পেসার আবু জায়েদ। মেন্ডিসকে ৩ রানে ফিরিয়ে সিলেটকে ১০৩ রানে আটকে দিয়ে রংপুরকে ম্যাচ জয়ের উল্লাসে মাতান জায়েদ। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা শেষ পর্যন্ত হাতে তুলেছেন সাকিবই। ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন সাকিব। ২৫ রানে অপরাজিত থেকে হার নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ১৯ রানের সূচনা এনে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডল সিমন্স ও সৌম্য সরকার। এরপরই রংপুরের ইনিংসের ছন্দপতন ঘটে। ৫৪ রানেই পৌছাতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সৌম্য ৭, সিমন্স ১৩, মোহাম্মদ মিথুন ৪ ও জহিরুল ইসলাম ৮ রান করে ফিরেন।
শুরুতে মাত্র ১ উইকেট নিলেও, শেষদিকে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরকে অল্প রানে বেঁেধ ফেলেন সিলেটের শহীদ। শ্রীলংকার সাচ্চিত্রা সেনানায়েকে ও আরাফাত সানির উইকেট যতটা না মূলবান ছিলো, তার চেয়ে বেশি সাকিবের উইকেটটি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো শহীদের কাছে।
কারণ দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন সাকিব। হাল ধরে ছিলেন শ্রীলংকার থিসারা পেরেরাও। তবে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। পেরেরাকে টপকিয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সাকিব। দলীয় ১০৮ রানে সাকিবকে ফিরিয়ে রংপুরের সম্মানজনক স্কোরের আশা শেষ করে দেন শহীদ। পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১০৯ রান করে রংপুর। ১২ রানে ৪ উইকেট নেন শহীদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রংপুর রাইডার্স : ১০৯/৯, ২০ ওভার (সাকিব ৩৩, পেরেরা ২১, শহীদ ৪/১২)।
সিলেট সুপার স্টার্স : ১০৩/১০, ২০ ওভার (মোমিনুল ২৯, মুশফিকুর ২৫*, সাকিব ৩/৩১)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সাকিব আল হাসান (রংপুর রাইডার্স)।