বুধবার রাত ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। লন্ডনে আড়াই মাস কাটিয়ে দেশে ফেরার পর দলের নেতাদের সঙ্গে এটিই খালেদার প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, আ স ম হান্নান শাহ, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত রয়েছেন।
এছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আবদু্ল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ওসমান ফারুক, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বৈঠকে রয়েছেন।
জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে যারা এই বৈঠকে নেই তাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার ও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে আত্মগোপনে, সারোয়ারি রহমান অসুস্থ, নজরুল ইসলাম খান চিকিৎসার জন্য বর্তমানে সিঙ্গাপুরে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে গত রোববার স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে আছেন।
“দীর্ঘ দুই মাসের অধিক সময় ধরে তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন। সেখান থেকে এসে নেতাদের সঙ্গে সব কিছু নিয়ে নেত্রী আলোচনা করবেন এই বৈঠকে।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই বৈঠক ঘিরে সন্ধ্যা থেকে দলীয় নেতাকর্মী বিশেষ করে নোয়াখালী, ফেনী, বরিশাল, নাটোর ও দিনাজপুরের স্থানীয় নেতারাও গুলশানের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেছেন।
লন্ডনে আড়াইমাস কাটিয়ে দেশে ফিরে দুইদিন বিশ্রামের পর মঙ্গলবার প্রখম গুলশানের কার্যালয়ে অফিস করেন খালেদা জিয়া।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছেলে তারেক রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করে ২১ নভেম্বর দেশে ফেরেন তিনি।