সরিষাবাড়ী সংবাদঃ রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত পরিমল জয়ধরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালাউদ্দিন আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে মামলার যুক্তিতর্ক শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. সালেহ উদ্দিন ১০ নভেম্বর রায়ের এই তারিখ ধার্য করেন।
মামলায় বিদ্যালয়টির বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের শিক্ষক পরিমলই একমাত্র আসামি। আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছে পরিমল।
গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার লাটেংগা গ্রামের বাসিন্দা পরিমল ২০১০ সালে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথম ধর্ষণ করে পরিমল। ওই সময় ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করা হয়। তাকে জিম্মি করে ১৭ জুন পুনরায় ধর্ষণ করে।
বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একপর্যায়ে পরিমলকে বরখাস্ত করে। এরপর ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা মাহমুদুল হক বাদি হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও লুৎফরকে আসামি করে মামলা করেন। এর একদিন বাদেই পরিমলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে তার স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় পরিমল।
মামলার শুনানিতে বিচারকের কাছে ওই ছাত্রী পরিমলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি ফোরকান মিয়া ও আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান।
২০১২ সালের ৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় অব্যাহতি দেয়া হয় অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও লুৎফরকে। তারপর থেকে শিক্ষক পরিমলই একমাত্র আসামি।