কন্সট্রাকশন প্রজেক্টের বিভিন্ন অংশসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
কন্সট্রাকশন প্রজেক্ট বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা বা বিভিন্ন অংশ নিয়ে চালিত হয়। এর ভেতর গুরুত্ব অনুসারে বিভিন্ন অংশ তুলে ধরা হলো।
কন্ট্রাক্ট্রর/ঠিকাদার অংশঃ
🔴 ইঞ্জিনিয়ার কমিউনিটিঃ
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার কমিউনিটির ভেতর প্রজেক্টে অভিজ্ঞতা এবং পারদর্শীতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকেন।
⬛️ প্রজেক্ট ম্যানেজার(পিএম)/ প্রকল্প ব্যবস্থাপকঃ
প্রজেক্টে অবস্থানকারীর ভেতর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন প্রজেক্ট ম্যানেজার। তিনি কন্সট্রাকশন প্রজেক্ট এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ডিসিশান মেকার এবং সবকিছুর মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। সে প্রজেক্টে কোথায় কখন কিভাবে কি কাজ হবে, কে কি কাজ কিভাবে করবে, কার কি দায়িত্ব, কি কাজের কোন সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে, কিভাবে করতে হবে এটা সকলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বা কখনো একাই নির্ধারণ করেন।⬛️ ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজারঃ
ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার হচ্ছেন সহকারী প্রকল্প পরিচালক। যিনি প্রকল্পের কিছু নির্দিষ্ট অংশের দায়িত্বতে থাকেন। তার কাজ প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারদের, এরিয়ার ম্যানেজারদেরকে গাইড করা।⬛️ প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারঃ
প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার সাধারণত ২-৭ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন। কখনো কখনো কম বা বেশিও হয়ে থাকে। এটা কোম্পানীর নিজেস্ব পলিসির উপর নির্ভর করে।⬛️এসিসট্যান্ট প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারঃ
এদের দায়িত্ব প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারদেরকে সাহায্য করা।⬛️ এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারঃ
এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বা সহকারী প্রকৌশলীর কাজ হচ্ছে প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্য সহযোগিতা করা।⬛️ সাব এসিস্ট্যন্ট ইঞ্জিনিয়ারঃ
সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ এসিস্টান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তা করা।⬛️ সাইট ইঞ্জিনিয়ারঃ
সাইট ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হচ্ছে তাদের ড্রইং, কর্ম-পরিকল্পনা এবং যে নির্দেশনা দেওয়া থাকবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে, তারা বুঝে বুঝে কাজ বাস্তবায়ন করবে এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার এর কথামতন সব কাজ করবে। যে অংশের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে সাইটের সে অংশের নিরাপত্তাসহ, সেখানের সকল কর্মচারী, শ্রমিক, সাব-ঠিকাদার অন্যান্য সবকিছুকে পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবে এবং তার অধীনে যারা রয়েছেন তাকে যেভাবে জবাব দিতে প্রস্তুত থাকবে, সেও যেকোন কাজের জবাবদিহী তার উপরের কাউকে এবং অফিসকে করতে প্রস্তুত থাকবে। সকল কাজের এরেঞ্জমেন্ট বা যে মালামাল লাগবে সেটা কাজ শুরুর অনেক আগেই ক্রয় কমিটি বা অফিসকে অবহিত করবে এবং মালামাল সাইটে রেডি রাখবে যাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী দিন তারিখ অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করতে পারে। কোন কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে না পারলে সেটাও কেন করতে পারলো না জবাবদিহী করতে হবে।মোট কথা, সাইটের সাইট ইন চার্জ হচ্ছে সাইট ইঞ্জিনিয়ার। নির্মাণে কোনরুপ ভুল, ত্রুটি বা ইঞ্জিনিয়ারিং ত্রুটি ধরা পড়লেও সেটার জবাবদিহীতা সাইট ইঞ্জিনিয়ার এর।⬛️ প্ল্যানিং ও মনিটরিং ইঞ্জিনিয়ারঃ
তারা কন্সট্রাকশনের কর্ম-পরিকল্পনার কাজ করবে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না সেটা পর্যবেক্ষণ করবে। সাইট ইঞ্জিনিয়ার এবং সবাইকে অবহিত করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে চাপ দিবে। প্রজেক্ট ম্যানেজারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কবে কি কাজ হবে সেটা নির্ধারণ করে দিবে। কোথায় কি কাজ হচ্ছে এবং সামনে কবে কি কাজ হবে সেটার সকল তথ্য প্ল্যানিং ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে থাকবে। প্রতিদিনের কাজের সকল তথ্য, মাসিক, সাপ্তাহিক সকল কাজের তথ্য (ডাটা) প্ল্যানিং এবং মনিটরিং ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে থাকবে। ক্যাশ ফ্লো, কত টাকার কাজ হবে সে হিসাবও তাদের নিকট থাকবে। সে অনুয়ায়ী তারা মালিক বা কনসাল্টেন্টদের সকল ডেইলি, উইকলি এবং মান্থলি কাজের রিপোট চাহিদা অনুযায়ী প্রদান করবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকেও চাহিদা অনুযায়ী অবহিত করবে। যেকোন অফিসিয়াল চুক্তি, পত্র, ডিসিশান, সমস্যার জন্য যে আবেদনপত্র বা পত্র লিখতে হয় সেটাও লিখে প্রজেক্ট ম্যানেজারকে অবহিত করার মাধ্যমে প্রোজেক্ট ডিরেক্টর বা প্রকল্প পরিচালককে অবহিত করে ডিসিশান নিবে সে সমস্যা সমাধানের। কোন ড্রয়িং সাইট ইঞ্জিনিয়ার না বুঝলেও বুঝিয়ে দিবে। কোন ড্রয়িং পরিবর্তন করতে হলে কনসালটেন্টকে প্রোজেক্ট ম্যানেজারের মাধ্যেম অবহিত করবে। পরিকল্পনামত কাজ না হলে নতুন রিভাইজ প্ল্যান করবে এবং সেটা বাস্তবায়ন করবে।⬛️ ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ার/ ল্যাব ইঞ্জিনিয়ার/ কোয়ালিটি কন্ট্রোলার ইঞ্জিনিয়ারঃ
তাদের কাজ হচ্ছে কন্সট্রাকশন কাজের ব্যবহৃত মালামাল এর মান প্রোজেক্ট এর টেকনিকাল স্পেসিফিকেশন অনুয়ায়ী পরীক্ষা করা যাতে বুঝা যায় কোন ম্যাটেরিয়াল তারা ব্যবহার করতে পারবে আর কোনটা পারবে না। তারা স্পেসিফিকেশন অনুয়ায়ী আমেরিকান বা ইন্ডিয়ান বা যে স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করতে বলা হয়েছে সেটা অনুসরণ করবে। ব্যবহারের অযোগ্য হলে বাদ দিবে। ব্যবহারের যোগ্য হলে ল্যাব টেস্ট ফ্রিকুয়েন্সী অনুযায়ী ল্যাব এ নিয়ে গিয়ে টেস্ট করবে। বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন টেস্ট করা লাগে সেটা তারা করে দেখবে, মান ঠিক করবে। সে রিপোর্ট তারা প্রজেক্ট ম্যানেজার, কনসালটেন্ট এবং যারা কাজ দিয়েছে তাদের দেখাবে যে তাদের মান ঠিক আছে কি না। এবং যেসকল প্রতিষ্ঠানের কাছে তারা জবাব দিতে প্রস্তুত তাদেরকে সাথে নিয়েই টেস্ট পরিচালনা করবে। ক্রয়কমিটি এবং স্টোর তাদেরকে নিয়ে মালামাল ক্রয়েও তারা সঙ্গে যাবে। মালামাল আসলেও তারা মাপতে যাবে।⬛️ কোয়ান্টিটি সার্ভেয়ারঃ
তাদের কাজ সাব-কন্ট্রাকটর কি কাজ করেছে, কোন পর্যন্ত করেছে সে টাকার বিল করা এবং প্রোজেক্ট পুরাটা করতে কত টাকা লাগবে সেটাও এস্টিমেট করা। একই সাথে তাদের কন্সট্রাকশন কাজের প্রতিটা আলাদা আলাদা অংশের কাজের এস্টিমেট তাদের কাছে অবশ্যই থাকবে। জানা থাকা প্রয়োজন তাদেরকে ড্রয়িং সম্পর্কে ভালভাবে ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হয় বিল এবং এস্টিমেট করতে। কোয়ান্টিটি তারা বের করবে। তারা এরিয়া এবং ভলিউম বের করার মাধ্যমে টাকার পরিমাণ বের করবে।⬛️ সার্ভেয়ারঃ
কন্সট্রাকশনের মাপামাপির কাজটা করে থাকে সার্ভেয়ার। প্রজেক্ট শুরুর জন্য টপোগ্রাফিক সার্ভে, মাটির লেভেলিং করার মাধ্যমে কতটুকু মাটি ভরাট করতে হবে সে কাজ সার্ভেয়ারের। পাইলের বা ফাউন্ডেশনের লে-আউট প্রদান যে কোথায় কোথায় স্ট্রাকচারের পাইল বসবে সেটার কাজ সার্ভেয়ারই করে থাকে। এছাড়া বিম, কলামের লেভেল, ছাদের লেভেল, ছাদের ঢালাই এর উচ্চতার লেভেল ঠিক আছে কি না সেটাও লেভেলিং মেশিন দিয়ে লেভেল দেওয়ার কাজ তাদের। কাজের সময় এতে সহজেই ছাদের পুরুত্ত্ব ঠিক আছে কি না চেক করা যায়।🔵 কন্সাল্টেন্টঃ
তাদের কাজ প্রকল্পের ডিজাইন করা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ডিজাইন প্রদান করা যে অনুয়ায়ী কাজ করতে হবে। তারাই স্ট্রাকচারাল, আর্কিটেকচারাল, ইলেক্ট্রিকাল, প্লাম্বিং এবং অন্যান্য সকল ড্রয়িং সাবমিট করবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের সময় যদি কোন ড্রয়িং পরিবর্তন করার দরকার পড়ে তাহলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহিত করার মাধ্যমে তারা সেটা প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তন করে থাকে। কন্সাল্টেন্ট বিদেশী কিংবা দেশী উভয়ই হতে পারে।
তাদের উল্লেখযোগ্য কাজের প্রধান কাজ হচ্ছে তারা প্রতিটা কাজের মনিটরিং করবে। কন্সাল্টেন্টদের ভেতর যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ ভাগ করা থাকে। তাদের ফিল্ড সুপারভাইসারদেকে সাইটে কাজ সুভারভাইস করতে হয়। ঠিকমতন মালামাল কাজে দেওয়া হচ্ছে কি না সেটা সাইট ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে সাথে কন্সালটেন্ট এর তারাও খেয়াল রাখে।
প্রতিটি ঢালাইয়ের আগে তারা চেক করেন রড ঠিকমতন ড্রয়িং এবং ইঞ্জিনিয়ারিং নীতি অনুযায়ী বসানো হয়েছে কি না, শাটার ঠিকমতন বসানো হয়েছে কি না। এবং ঢাকাই এবং সেট আপের পরেও চেক করেন আর্কিটেকচারাল ড্রয়িং অনুযায়ী কাজটা যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি না। ফিনিশিং ঠিকমতন হয়েছে কি না। কন্সট্রাকশণের ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি কন্সালটেন্টরাও সেটার খেয়াল রাখেন।
⬛️ কন্সাল্টেন্সি ফার্মের বিভিন্ন অংশঃ
ক) স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারঃ কনসালটেন্সি ফার্মে থাকেন স্টাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার। তাদের কাজ মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে সাব স্টাকচার এবং সুপারস্টাকচার ডিজাইন করা।
খ) ড্রাফসম্যানঃ ডিজাইনগুলোকে অটোক্যাডে আঁকাআঁকির কাজ করেন ড্রাফসমান। দ্বিমাত্রিক, ত্রিমাত্রিক নকশার কাজও ড্রাফসম্যানরা করে থাকেন।
গ) আর্কিটেক্টঃ আর্কিটেক্ট এর কাজ হচ্ছে নকশা করে দেওয়া। নির্দিষ্ট জায়গার উপরে কিভাবে প্রকল্প হবে, কি কি কিভাবে থাকবে সেসকল ডিজাইন করা, নকশার ত্রিমাত্রিক এবং দ্বিমাত্রিক (থ্রিডি এবং টুডি) ডিজাইন করা কাজ করে থাকেন আর্কিটেক্ট। সম্পূর্ণ প্রকল্প করলে কি লাভ হবে, কোথায় কি প্রকল্প কিভাবে করলে কি ফলাফল পাওয়া যাবে সেটার কাজ আর্কিটেক্ট এর।
🔵 নন- ইঞ্জিনিয়ার কমিউনিটিঃ
⬛️ পারচেজ/প্রকুরমেন্ট:
তাদের কাজ ম্যাটেরিয়াল কেনাকাটা করা। তারা ম্যাটেরিয়াল পারচেজ রিকুইজিশন অনুযায়ী ম্যাটেরিয়াল ক্রয় করবে। ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ার, স্টোর এবং প্রকুরমেন্ট মিলে পারচেজ কমিটি গঠন করে সে কমিটির কেনাকাটায়ও তারা প্রোজেক্ট ম্যানেজারের নির্দেশে মালামাল ক্রয় করতে যাবে।⬛️ স্টোর বা ইনভেন্টরি ( যন্ত্রপাতি ও মালামালের দায়িত্বরত ব্যক্তিগণ):
তারা কন্সট্রাকশন কাজে ব্যবহার করা যন্ত্রপাতি এবং মালামালের দিন, সপ্তাহ ও মাসের হিসাব রাখবে। ঠিকমতন মালামাল এবং যন্ত্র গেলো কি না সেটা দেখার দায়িত্বও স্টোর এবং ইনভেন্ট্রির হাতে ন্যস্ত থাকে। তারা গেট পাশের মাধ্যমে মালামাল ছাড়বে এবং সাইটে কর্তব্যরত ব্যাক্তির এবং গ্রহণকারী এদের সকলের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে মালামাল জায়গামতন গিয়েছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবে।🔵 সাব-কন্ট্রাক্টর/সাব-ঠিকাদারঃ
(লোকাল বা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিজেদের): ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেস্ব বা বিভিন্ন অংশের জন্য বিভিন্ন সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করতে পারে।যেমনঃ
১। পাইলের বা ফাউন্ডেশনের ঠিকাদার
২। সিভিল কাজের ঠিকাদার (সিভিল কন্ট্রাকটর- মাটি কাটা, পাইল হেড ভাঙা, পাইল ক্যাপ, ব্রেসিং বিম, শট কলাম, গ্রেড বিম, দেয়াল, কলাম, বিম, ছাদ ইত্যাদি স্ট্রাকচারাল কাজের ঠিকাদার)
৩। প্লাম্বিং কন্ট্রাকটর (যারা পানির লাইন, সুয়ারেজ লাইন এবং পানি সংক্রান্ত লাইনগুলোর কাজে নিয়োজিত)
৪। ফ্লরিং কনট্রাকটর (যারা টাইলস এবং ফিনিশিং এর কাজ করেন)। ৫। পেইন্টার (স্ট্রাকচার রঙ করার কন্ট্রাকটর)।
৬। ইলেক্ট্রিশিয়ান (যারা স্ট্রাকচারের প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক লাইন এবং তারের সংযোগ প্রদানের জন্য কাজ করে থাকেন)
৭। টিউবয়েল কনট্রাকটর।
৮। সয়েল টেস্ট টিম, লোড টেস্ট টিম, ইনটিগ্রিটি টেস্ট টিম।
এছাড়াও থাকে আরো অনেক ধরণের লোক। সুপারভাইসার, শ্রমিক থাকে। অনেক কোম্পানি আলাদা সুপারভাইজার নেয় না তারা সাইট ইঞ্জিনিয়ার দিয়েই কাজ চালিয়ে নেন যদি সাইট ইঞ্জিনিয়ার একাই চালিয়ে নিতে সক্ষম হয় সে কাজ।
🔵 অর্থদাতা প্রতিষ্ঠানঃ
⬛️অর্থদাতা দেশী/বিদেশী সংস্থাঃ
যদি প্রোজেক্টটি ব্যাক্তিমালিকানাধীন হয় সেক্ষেত্রে দাতা হবেন যে প্রজেক্ট এর মালিক তিনি।আর দেশী কিংবা বিদেশী সংস্থার অর্থায়নে যেসব প্রোজেক্ট হয় সেগুলো অর্থ সাধারণত সরকারকে প্রদান করা হয়। সরকার সেটা অন্য সরকারী প্রতিষ্ঠানকে দেয়। হতে পারে সেটা এল জি ই ডি, হতে পারে রেলওয়ে, হতে পারে তিতাস গ্যাস, হতে পারে ডেসকো কিংবা অন্য কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান। অর্থদাতা সংস্থা বাংলাদেশী প্রেক্ষাপটে অবশ্যই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিদেশী হয় কিংবা দেশের সরকার হয়।