গ্রীন কংক্রিট কী?
গ্রীন মানে শুধু সবুজ রঙ বোঝায় না। এখানে গ্রীন বলতে বোঝায় আমাদের চারপাশের পরিবেশ।
কংক্রিট এর বর্জ্য দিয়ে তৈরি কংক্রিট কে গ্রীন কংক্রিট বলে।
সম্পদ এর রক্ষা এবং পরিবেশের উপর কম প্রভাব ফেলও গ্রীন কংক্রিট এর আরেক নাম। যেমন এনার্জি রক্ষা, কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি, বাতিল পানি ইত্যাদি।
কংক্রিট শিল্পে এটি একটি যুগান্তকারি আবিষ্কার। 1998 সালে ডেনমার্ক এর ডাঃ ডাব্লিউ জি প্রথম আবিষ্কার করেন।
কংক্রিট এর বর্জ্য যেমন ধাতুমল, পাওয়ার প্লান্ট এর বর্জ্য, কাচের বর্জ্য, লাল মাটি, পোড়া কাদা, ইত্যাদি দিয়ে এই কংক্রিট তৈরি।
এই কংক্রিট দীর্ঘস্থায়ী , কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং পরিবেশ বান্ধব।
পরিবেশের এর উপর কংক্রিট এর প্রভাব কামানোই এই কংক্রিট এর উদ্দেশ্য।
এর অত্যাবশ্যকীয় কিছু গুণ:
- কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমবে।
- কমপক্ষে 20 শতাংশ উপাদান পুনরায় ব্যাবহার উপযোগী হতে হবে।
- কংক্রিট শিল্পের নিজস্ব বর্জ্য ব্যাবহার
- পরিবেশ বান্ধব জালানী ব্যাবহার করতে হবে।
সুবিধা সমূহ
- ৩০ শতাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমানো
- বর্জ্য ব্যাবহার ২০ শতাংশ বাড়ানো
- পরিবেশ দূষিত করবে না
- রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম
- সাধারণ কংক্রিট এর চেয়ে ব্যাবহার সুবিধা (কাজের সময় ব্যাবহার) বেশি
- আগুন এবং তাপ প্রতিরোধক
- সিমেন্ট-পানির অনুপাতের সাথে এর শক্তি নির্ভরতা সাধারণ কংক্রিট এর মতই
- টান শক্তি সাধারণ কংক্রিট এর মতই
সীমাবদ্ধতা
- ইস্পাতের ব্যবহারের কারণে রি-ইনফরসমেণ্ট খরচ বেড়ে যায়
- তুলনামূলক কম টেকসই
আরো পড়তে পারেনঃ